যে কারখানা রুটি-রুজি দেয়, তা ভাঙচুর করলে আল্লাহও নারাজ হবেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার ক্ষমতায়। শ্রমিকদের বেতন আমরা বাড়িয়েছি। আমি তাদের (শ্রমিকদের) বলবো যে কারখানা আপনাদের রুটি-রুজি দেয়, যে কারখানায় শ্রম দিয়ে আপনারা পয়সা কামাই করেন, সেই কারখানা ভাঙচুর করলে আল্লাহও নারাজ হবেন। আপনাদের যা প্রয়োজন হয়, অসুবিধা হয় তা আমরা দেখি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) মেট্রোরেলের উদ্বোধন শেষে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগের জনসভায় শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা পারিবারিক কার্ড নিতে পারেন। সেখান থেকে আপনারা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারেন। সেই ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি। চিকিৎসার ব্যবস্থা, টিফিন ভাতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি সব ব্যবস্থা আমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তারা কোনোদিন কোনো কিছু করেনি। যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে। আওয়ামী লীগ জানে মানুষের কষ্ট দূর করতে। তাই আমি বলবো অন্যের কথায় নেচে কারখানায় হামলা করে, কারখানা ভেঙে সেখানেও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশের ক্ষতি করলে নিজেরই ক্ষতি হবে। কারখানা বন্ধ করলে গ্রামে ফিরে যেতে হবে। বিনা কাজে জীবন-যাপন করতে হবে। এটা যেন তারা মনে রাখে।
তিনি আরও বলেন, তাদের (শ্রমিকদের) জন্য ইতোমধ্যে মজুরি কমিশন বসেছে। ধৈর্য ধরতে হবে। কারা উস্কানি দিচ্ছে সেটা আমরা জানি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আর বিদেশে বসে সেই সুযোগ ব্যবহার করে হুকুম দান করেন। ওই কুলাঙ্গারকে বিদেশ থেকে ধরে এনে বাংলাদেশে শাস্তি দিবো ইনশাআল্লাহ। কেউ ছাড়া পাবে না।
এ দিকে সমাবেশে অংশ নিতে আরামবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঢল নামে। বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে করে হাজারো নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হন। পুরো আরামবাগ-ফকিরাপুল-নয়াপল্টন এলাকা ছেয়ে গেছে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসা ব্যানার-ফেস্টুনে।
বেলা দুইটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে ঢাকা মহানগর ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তৃতা দেন। তারা বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে এবং শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।