যে কারণে ৩০০ আসনে এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা আ’লীগের
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনে দলের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বাকি দুটি আসনে নৌকার কাণ্ডারিদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে। এদিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৯৮ আসনে একক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে কয়েক দফায় দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় প্রার্থী ঠিক করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেসব সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপিকে ঘিরে দুই ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে- এমনটি মাথায় রেখে পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। আবার বিকল্প পরিকল্পনাও রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারকদের মাথায়। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের চাওয়া নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। সেক্ষেত্রে ভোটের হার বেশি দেখানো এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকসহ মহলের কাছে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক প্রমাণ করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন দুই ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। বিএনপি নির্বাচনে এলে জোটের পরিধি বাড়াতে পারে আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি শরিক দলের প্রার্থীরাও পাবেন একক মনোনয়ন। পাশাপাশি সেক্ষেত্রে তিনশ’ আসন ভাগাভাগি করে নেবে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের শরিক দলগুলো। এছাড়াও বিএনপি নির্বাচনে এলে মহাজোটের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি শক্তিশালী প্রার্থীদের রেখে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অন্যদিকে, শেষ মুহূর্তে বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা নির্বাচনে না এলে বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোর মতো জোটের পথে না গিয়ে শরিক দলগুলোকে এককভাবে নির্বাচনের মাঠে রাখতে চাইবে আওয়ামী লীগ। এতে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এবং বিএনপির অংশ না নেয়াটা তেমনভাবে দৃষ্টিগোচর হবে না।