প্রতিমা ভাঙচুরের দায়ে ৫ জনের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আপিল মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল আউয়ালের আপিল আদেশ প্রচার হয়। যদিও বিচারক ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হরিরঞ্জন নাথ।
দণ্ডিতরা হল— নুরুল আমিন, বেদার মিয়া, কামাল উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন। তারা সবাই পলাতক আছেন। এছাড়া একই রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মো. রুবেল ও মহিউদ্দিন মুন্না নামে দুজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পশ্চিম রাউজান ইউনিয়নের কেউটিয়া গ্রামে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বণিকপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু বণিক বাদী হয়ে ১ অক্টোবর রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সাতজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পূর্বপুরুষের আমল থেকে কেউটিয়া গ্রামের বণিকপাড়ায় রাধাকৃঞ্চ মাধবানন্দ সেবাশ্রম মন্দিরের পাশে সার্বজনীনভাবে দুর্গোৎসব করে আসছিলেন। আসামিরা ২০০৫ সাল থেকে তাদের বণিকপাড়া থেকে পরিকল্পিতভাবে উচ্ছেদের জন্য বাড়ি-ভিটা দখলের উদ্দেশে বিভিন্নভাবে জ্বালাতন করে আসছিল। বেদার মিয়া ও নুরুল আমিনের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে আসামিরা বণিকপাড়ার পুকুরে নারীরা গোসল করার সময় পাড়ে বসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির পাশাপাশি মোবাইলে স্নানের দৃশ্য ভিডিও করত। ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে বণিকপাড়া পুকুরপাড়ে গিয়ে দুর্গাপূজা না করার জন্য হুমকি দেন। বিকেলে অমলেন্দু বণিক ও তার ছেলে রানাপ্রতাপ পূজার বাজার করে ফেরার পথে তাদের রিকশা আটকে গালিগালাজ করে। ওই রাতেই আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে দুর্গাপূজা কমিটির সভাপতি ডাক্তার অরুণ ধরের বাড়ির বারান্দা রাখা পূজার জন্য বানানো দুর্গা, লক্ষ্মী-স্বরস্বতীসহ একাধিক প্রতিমা ভাঙচুর করে।