র্যাবের নজরদারিতে এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরই মধ্যে এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র্যাব, বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
সূত্রে জানা গেছে, কিশোর গ্যাং, ভাড়াটে খুনি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, ছিনতাই কিংবা ডাকাতি মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রের জোগানদাতা, মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত এবং এর পেছনের ইন্ধনদাতাদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে জামিনে বের হওয়া অপরাধীদের ওপরও নজরদারি রাখা হচ্ছে। কারা কোন কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে কোথায় যাচ্ছে, কোথায় অবস্থান নিচ্ছে, সেসব বিষয়েও দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
এছাড়া অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে অপরাধীরা যেন অবৈধ অস্ত্রের জোগান না পায়, সে ব্যাপারেও জোগানদাতাদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হচ্ছে।
যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্য আপডেট রাখা তাদের নিয়মিত কাজের অংশ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জামিনে বের হওয়া সন্ত্রাসীরা অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। জামিনে বের হয়ে আসা সন্ত্রাসী কিংবা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিষয়টিও নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, র্যাবের যত ব্যাটালিয়ন রয়েছে, সব ব্যাটালিয়নকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এলাকাভিত্তিক ছোট বড় সন্ত্রাসী এবং তাদের অনুসারীদের তালিকা করতে। এছাড়া অপরাধ করে কারা কারাগারে আছে এবং কারা বাইরে রয়েছে, তারও তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।