র্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বাওয়া স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম নগরের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল নয়টা থেকে স্কুলের সামনে মূল সড়কে ঘণ্টাব্যাপি এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, এখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র্যাম্প নির্মাণকাজের ফলে স্কুলের সামনে সবসময় যানজট দেখা দিচ্ছে। মূল সড়কের দুই-তৃতীয়াংশই ছোট হয়ে গেছে। ফলে প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে ও পরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আমাদের স্কুলের বিপরীত পাশে রয়েছে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাই স্কুলের সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে বাওয়া স্কুলের সামনে র্যাম্প নির্মাণের আপত্তি জানিয়ে কাজ বন্ধের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত আবেদন করেন স্কুল অধ্যক্ষ।
এই বিষয়ে বাওয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহ. আরিফ উল হাছান চৌধুরী সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ও সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এই সড়ক হয়ে যাতায়াত করে। ফলে ক্লাস শুরুর আগে ও পরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। র্যাম্প নির্মাণ করা হলে যানজট চিরস্থায়ী রূপ নিবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই নিয়ে গত মে মাসে নির্মাণকাজ বন্ধ ও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবরে একটা চিঠি দিয়েছিলাম। এরপরেও কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ চলমান রেখেছে।’
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাওয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ফটকের সামনে গর্ত খননের কাজ প্রায় শেষ করেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকারী সংস্থা। তারপরও বাকি অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে ধীর গতিতে। কারণ নির্মাণকাজের ফলে ওই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট অসংখ্য গর্ত, যেখানে পানি জমে থাকায় রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এ কারণে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তীব্র যানজটে সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগ উত্তরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কীর্তিমান চাকমা বলেন, ‘র্যাম্প নির্মাণকাজ শুরুর আগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের কাছে ফুটপাত ঘেঁষে কাজ শুরু করার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তা না করায় চার লেনের রাস্তাটি আড়াই লেনে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিইসি থেকে লালখান বাজার সড়ক চট্টগ্রাম নগরের মূল সড়ক। প্রতিদিন কয়েকহাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু এখন রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় নগরের প্রবর্তক, গোলপাহাড় ও কাজীর দেউড়ি এলাকায় চাপ পড়ছে। ট্রাফিকজ্যাম এড়াতে ওইসব সড়ক ব্যবহার করছে গাড়ির চালকরা।
এ বিষয়ে জানতে সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল করিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত, ২০ মিনিট পরে আবার ফোন দিতে বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবার ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।