শাকিবের তৃতীয় বিয়ে, যা বললেন অপু বিশ্বাস
চলছে জোর গুঞ্জন, চলতি বছরের শেষেই তৃতীয় বিয়ে করতে চলেছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। বাবা-মায়ের পছন্দ করা চিকিৎসক পাত্রীকে শাকিবও নাকি পছন্দ করেছেন। অবশেষে এ নিয়ে ভারতের বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজারের কাছে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস।
গত কয়েক দিন ধরেই যেন শাকিব খানের তৃতীয় বিয়ের খবরে হইহই পড়ে গেছে দুই বাংলায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে খুব একটা ধরা দেন না শাকিব। বিয়ের জন্য নাকি সম্মতিও দিয়েছেন এই আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা। যদিও এর আগে আরও দু’বার বিবাহিত সম্পর্কে ছিলেন শাকিব। অভিনেতার প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস, দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলী। দুই পক্ষের দুই পুত্রসন্তানও রয়েছে শাকিবের। যদিও এই ত্রয়ীর সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে রয়েছে নানা মত। তারা বিবাহিত? নাকি একে অপরের প্রাক্তন, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এর মাঝেই অভিনেতার তৃতীয় বিয়ের খবর আসে।
প্রায় ৯ বছরের সম্পর্ক অপু-শাকিবের। যদিও মাঝে অনেক ঝ়়ড়ঝাপটা গিয়েছে তাদের সম্পর্কে। অপু জানিয়েছেন, ছেলে জয়ের কথা ভেবেই তারা আবার স্বাভাবিক করেছেন সম্পর্ক। তবে শোনা যায়, গত বছর নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। তবু এই ঈদেও শাকিবের বাড়ি গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে রান্না করে শ্বশুরবাড়ি লোকদের খাওয়ান তিনি। তার কয়েক দিনের মধ্যেই শাকিবের বিয়ের খবর। এ গুঞ্জন কতোটা সত্যি? শাকিব আবার বিয়ে করবেন, আগে থেকেই কি জানতেন অপু বিশ্বাস? এই প্রশ্নের উত্তরে অপু বলেন, শাকিব তো একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলার থাকলে, তিনি নিজেই বলবেন। তিনি তো আমার ছেলে জয়ের মতো ছোট নন। তবে প্রতিনিয়ত এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতে আমি বিরক্ত।
বেশ কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে ছেলে জয়কে বিদেশে পড়াশোনা করতে পাঠাচ্ছেন তিনি। তবে কি শাকিবের বিয়ের খবর আঁচ করতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত?
অপু বলেন, শাকিব শুধু বাংলাদেশের সব থেকে বড় তারকা নন। তিনি আর্ন্তজাতিক মানের তারকা, বুদ্ধিমান মানুষ। আমার ও শাকিবের যেহেতু সন্তান রয়েছে, তাই সম্পর্ক থেকেই যায়। এক সময় আমার তরফে জয়ের পরিচয় দিতে সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিতে হয়েছিলো। সেই সময় পরিস্থিতি তেমনই ছিলো। তবে এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি না। দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক আমাদের। ওর পরিবারের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তা তো ছিন্ন হওয়ার নয়। আর এই মুহূর্তে, বিশেষত ছেলের একটা সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ওকে বাইরে পাঠাচ্ছি।