সমন্বয়ক হয়ে চাঁদাবাজি, জড়িতদের প্রতিরোধ করার অঙ্গীকার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দল।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সমন্বয়করা।
ছাত্র-জনতার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। এছাড়া ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার নির্দেশনাও দেন তারা।
এসময় বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ওয়াহিদ উজ্জামান, আকরাম হোসাইন রাজ, আশরেফা খাতুন, আবু বক্কর খান, ফারহানা ফারিনা, মইনুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ দত্ত, তৌহিদ ইসলাম শুভ, বাবু খান ও জান্নাত।
তারা বলেন, দেশ দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন হলেও ফ্যাসিজম ব্যবস্থা এখনো রয়ে গেছে। এক স্বৈরশাসক বিদায় নিয়েছে, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল দেশটাকে নিজেদের সম্পদ মনে করে নিয়েছে। ৫ আগস্টের আগেও যেভাবে চাঁদাবাজি দখলবাজি চলছিল, তা এখনো চলছে। নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি করা এখন অত্যন্ত কঠিন। কেননা, দেশের ছাত্রসমাজ সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নজরদারিতে রেখেছে। এ ফ্যাসিবাদী সিস্টেম বাতিল করার জন্য ছাত্ররা এখনো মাঠে রয়েছেন।
তারা আরও বলেন, জেলার কোথাও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিংবা ছাত্র প্রতিনিধির কমিটি দেওয়া হয়নি। ভুয়া সমন্বয়ক সেজে অনেকে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। এছাড়া শহীদদের স্বজনদের সঙ্গেও দেখা করেন সমন্বয়করা।