চট্টগ্রামশিক্ষা

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা প্রতি পদে লড়বেন ৮ জনের বেশি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিটি পদের জন্য লড়বেন ৮ জনের বেশি প্রার্থী। তৃতীয় ধাপের গত ২৯ মার্চের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষায় চট্টগ্রামের পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪৯ হাজার ১১৪ জন। এদের মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫ হাজার ৯২০ জন। তবে চট্টগ্রাম নগরী ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষদের শূন্য পদ রয়েছে ৭২০টি। সে হিসেবে এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতি পদের জন্য লড়বেন ৮ দশমিক ২২ প্রার্থী। উত্তীর্ণ হওয়া প্রাথীদের আগামী ১৫ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের নগরী ও উপজেলায় ২১টি শিক্ষা থানায় শূন্য পদ রয়েছে ৭২০টি। তবে প্রতিদিনই নতুন করে শূন্য পদ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে পাঁচলাইশ থানায় শূন্য পদের সংখ্যা ১১টি, পাহাড়তলীতে শূন্য পদ ১৯টি, বন্দরে শূন্য পদ ১১টি, চান্দগাঁয়ে শূন্য পদ ২৩টি, ডবলমুরিং এ শূন্য পদ ১৬টি এবং কোতোয়ালী থানা এলাকায় ৪টি শূন্য পদ রয়েছে। এছাড়া লোহাগাড়া উপজেলায় শূন্য পদের সংখ্যা ৩১টি, সাতকানিয়ায় শূন্য পদ ৩২টি, স›দ্বীপে ৪২টি, ফটিকছড়িতে ৫০টি, মিরসরাইয়ে ৭৪টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৮৮টি, সীতাকুন্ডে ২৮টি, চন্দনাইশে ৩৩টি, পটিয়ায় ৬১টি, আনোয়ারায় ২২টি, বোয়ালখালীতে ৩৯টি, রাউজানে ৫৩টি, বাঁশখালীতে ৩০টি, হাটহাজারীতে ৫০টি এবং কর্ণফুলী উপজেলায় ৩টি শূন্য পদ রয়েছে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি আমাদের শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৫ মে থেকে শুরু হয়ে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা চলবে। এবারের প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষায় চট্টগ্রামের পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪৯ হাজার ১১৪ জন। এদের মধ্যে ৫ হাজার ৯২০ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর বিপরীতে নগরী ও উপজেলায় শূন্য পদ ৭২০টি। তবে প্রতিদিনই নতুন করে শূন্য পদ সৃষ্টি হচ্ছে। সে হিসেবে সব শূন্য পদ পূরণ হবে কিনা তা বলা যায় না।

তিনি আরো বলেন, উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র বৃহস্পতিবার (গতকাল) থেকে ডাক যোগে প্রার্থীদের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। প্রবেশপত্র নিয়ে প্রাথীরা নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতে আসবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d