সাইকেল নিয়ে ভারতের দুই শিক্ষক চট্টগ্রামে
‘মানবিক মানুষ হওয়া জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মানুষ ও প্রকৃতি যার শিক্ষক, রাস্তা হলো শিক্ষালয়।
এজন্য মানুষ যেমন দুনিয়ায় আসে ঘর বাঁধতে, তেমন ঘর ছাড়তেও। অমোঘ সেই ঘর ছাড়ার ডাকে আমাদের সবাইকে সাড়া দিতে হবে একদিন, এটা তারই এক মহড়া’।
‘মানবতার পক্ষে সাইকেল যাত্রা’ স্লোগানে ভারত থেকে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে আসা দুই শিক্ষক অনিরুদ্ধ ঘোষ ও রিতম ভাণ্ডারী বললেন তাদের এমন অনুভূতির কথা।
কোলকাতা হতে ২৩ এপ্রিল যাত্রা শুরু করেছিলেন তারা দুজন। ২৪ এপ্রিল সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেন। ইতোমধ্যে সাইকেল নিয়ে ঘুরেছেন ভোমরা-সাতক্ষীরা-খুলনা-বাগেরহাট-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর-নোয়াখালী ও ফেনী। বাদ যায়নি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও সৈকত নগর কক্সবাজার।
আলাপকালে তারা জানান, দুই বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতিতে অনেক মিল রয়েছে। মাঝে শুধু দূরত্ব তৈরি করেছে কাঁটাতারের বেড়া। খুলনার পল্লীমঙ্গল হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রথম কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর ব্রজমোহন কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎ হয়েছে বাগেরহাট সরকারি প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজের শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সাথে। চট্টগ্রামের মানুষ বেশি অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুবৎসল। তাদের সঙ্গে আড্ডা হারিয়ে যাওয়া সময়গুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
দুই শিক্ষক চট্টগ্রামে আসেন ৭ মে। ভর দুপুরে তপ্ত রোদের মধ্যে সাইকেল চালিয়ে তারা হালিশহর মহব্বত আলী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় ও বাঁশখালীর কালীপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে মানবতার জয়গান গেয়েছেন, প্রচার করেছেন সম্প্রীতির বার্তা। যাত্রাপথে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন।