সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ, ঘরে ফিরতে শুরু করেছে লোকজন
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত দুদিন ধরে সংঘর্ষ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়ে এসেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু ও ঢেকিবুনিয়া ক্যাম্প দুটি আরাকান আর্মি দখল করে নেওয়ার পর সেখানে এখন গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে। ভয় ও আতঙ্কে বান্দরবানের তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত থেকে সরে যাওয়া প্রায় দুইশ পরিবারের অধিকাংশই এখন ঘরে ফিরেছে।
যে আশ্রয় কেন্দ্রটি খোলা হয়েছিল সেখান থেকেও লোকজন চলে গিয়েছে। কয়েকদিন বন্ধ থাকা তুমব্রু বাজারটিও এখন খুলেছে। তবে সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘাতের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা ও রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।
গত এক সপ্তাহে একশরও বেশি চাকমা পরিবারকে আটক করে পুশব্যাক করেছে বিজিবি। সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া পাহারা দিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের বিজিবির চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা ও টহল বাড়ানো হয়েছে। তবে স্থানীয়রা মনে করছেন যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে।
অন্যদিকে এ পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সেখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপির ১৩০ সদস্যকে। অন্যদিকে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপির ৯৬ জন সদস্য। এদের বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের পক্ষ থেকে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তবে কবে নাগাদ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় ঘরে ফেরা লোকজনদের প্রশাসন থেকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।