চট্টগ্রাম

সৈকত এলাকায় রাস্তা পারাপারে ঝুঁকি

চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম ব্যস্ত সড়ক এখন পতেঙ্গা সৈকত এলাকা। আউটার রিং রোড, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিমানবন্দরের যাওয়ার ভিআইপি সড়ক নির্মাণের পর বদলে গেছে সাগরপাড়ের বাসিন্দাদের জীবনমান। কিন্তু পাশাপাশি বেড়ে গেছে ঝুঁকিও। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে অসংখ্য দ্রুতগামী যানবাহন। বিভিন্ন স্থানে এসব সড়ক পার হতে গিয়ে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনায় পড়ছেন পর্যটকসহ এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এর একটি সৈকত সংলগ্ন পতেঙ্গা হোটেলের মোড়। দীর্ঘদিন ধরে এ স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে তারা। কিন্তু এ ব্যাপারে কার্যকর কোন উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ দক্ষিণ পতেঙ্গার বাসিন্দাগণ। চট্টগ্রামের অন্যতম নান্দনিক পর্যটন স্পট পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সমুদ্রের সান্নিধ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করেন। এর মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনেক পর্যটকও পতেঙ্গা হোটেলের মোড় দিয়ে চলাচল করে থাকেন। কিন্তু এই মোড় দিয়েই সৈকত এবং সৈকত সংলগ্ন মার্কেটগুলোতে সহজে চলাচলের কোন সুযোগ নেই। ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পতেঙ্গা রুটে চলাচলকারী পাবলিক বাস ও হিউমেন হলারের শেষ স্টপেজ এই মোড়টি। পতেঙ্গা ওয়ার্ডের ফুলছড়ি পাড়া, নাজির পাড়া, ডেল পাড়া, পাইক পাড়া ও দক্ষিণ পাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা দৈনন্দিন কাজে আসা যাওয়ার কাজে এ মোড়টি ব্যবহার করেন। দ্রুত সৈকতে পৌঁছাতে অনেক পর্যটকও এ মোড় দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় সড়ক পার হতে গিয়ে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। ঝুঁকি নিয়ে ডিভাইডার টপকে চলাচল করেন তারা।

দুর্ঘটনা এড়াতে পতেঙ্গা থেকে বিমানবন্দরমুখী

চার লেনের এ ভিআইপি সড়কের মাঝে লোহার পাত দিয়ে উঁচু করে দেওয়া হয়েছে ডিভাইডার। কিন্তু তারপরও থামানো যাচ্ছে না এসব পথচারীদের।

স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন রুবেল বলেন, ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় সড়ক দিয়ে সৈকতে আসা-যাওয়া করতে অনেকদূর ঘুরে আসতে হয়। তাই ঝুঁকি নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ ডিভাইডার টপকে রাস্তা পার হন। যার জন্য প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।

বন্দরটিলা থেকে স্বামী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন গৃহিণী জোবেদা বেগম। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক দিয়ে হেঁটে সৈকতে আসার সময়ও আতঙ্কে ছিলাম। দ্রুতগামী গাড়ির কারণে ভয় নিয়েই টানেল ও আউটার রিং রোডের সংযোগস্থল পার হয়েছি। ফেরার সময় সৈকতে মার্কেট থেকে দ্রুত প্রধান সড়কে উঠেই বিপাকে পড়েছি। রাস্তা পারাপারের কোন সুযোগ নেই। বাধ্য হয়ে ডিভাইডার টপকে ওপারে আসতে হয়েছে। রিং রোড চালু হওয়ার পর থেকে এ সড়কে বিমানবন্দরমুখী দ্রুতগামী গাড়ির চলাচল বেড়েছে অনেকগুণ। এরপর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন সময় এখানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে।

এ ব্যাপার জানতে চাইলে স্থানীয় ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, এলাকাবাসী এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হলে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অনুমতি লাগবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকে অনুমতি পেলে পরবর্তীতে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d