হাইকোর্টে হারলেন ড. ইউনূস, দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি খুরশীদ আলম ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্টের যৌথ বেঞ্চ এ রায় দেন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের অন্য ৩ শীর্ষ কর্মকর্তা। রায়ের বিপরীতে করা সেই আপিলের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূস, নূরজাহান বেগম, এম শাহজাহান ও আশরাফুল হাসানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একইসঙ্গে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ের পরপরই সকলে জামিনের আবেদন করলে জামিন পান।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক এসএম আরিফুজ্জামান ২০২১ সালে এই মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওই বছরের ১৬ আগস্ট মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিসে গেলে শ্রম আইনের বেশ কিছু সুস্পষ্ট লঙ্ঘন দেখা যায়। ৩ দিন পর ১৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত পাঠানো হয়, ৬৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
অপরদিকে, কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল গঠনে বিলম্বসহ প্রতিষ্ঠানটির লভ্যাংশের যে অংশ কর্মচারীদের দেয়ার কথা ছিল তার শতকরা ৫ ভাগও পরিশোধ করেনি গ্রামীণ টেলিকম। সার্বিক আইন লঙ্ঘনের ফলে ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির আরও ৩ কর্মকর্তাকে শাস্তি দেন আদালত।