৪০ টাকা কমেছে রসুনের দাম, বেড়েছে পেঁয়াজের
পেঁয়াজের দাম বাড়লেও পাইকারিতে দুদফা কমেছে রসুনের দাম। গেল ১০ দিনের ব্যবধানে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কমেছে পণ্যটির দাম।
গতকাল শনিবার পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রসুন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গেল সপ্তাহে ১৬০ টাকা ও ১৮ জুন ১৮০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হয়েছিল।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে চাহিদা বেশি থাকায় রসুনের দাম বাড়তি ছিল। চাহিদা কমার সঙ্গে চীনা রসুন আমদানি হওয়ায় দাম কমেছে। তবে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। গেল ৪ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৩ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শনিবার খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজ ৮৪ থেকে ৮৫ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৮৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গেল বুধবার ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে পাইকারি দরে বিক্রি হয়েছিল পেঁয়াজ।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন বলেন, ‘রসুনের দাম অনেক কমে গেছে। মূলত সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে, তাছাড়া বিক্রি তো নেই বললেই চলে।’ তবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৯ থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন দেশি পেঁয়াজ ৮৪ থেকে ৮৫ টাকা আর ভারতী পেঁয়াজ ৮৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবরে খুচরায়ও ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। নগরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এখন। তবে পাইকারিতে রসুনের দাম কমলেও খুচরায় কমেনি। শনিবার নগরে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পণ্যটি।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘পাইকারিতে দাম বাড়লে খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে, তবে কমলে আর কমায় না। এই চর্চা দীর্ঘদিনের। এমনকি দেশের বাইরে দাম বাড়লেও এখানে দাম বাড়িয়ে দেয়। এজন্য তদারকি বাড়াতে হবে। তবে ব্যবসায়ীদেরও দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।