অনেক নাটকের পর বাংলাদেশ-ভারত যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন
অনেক নাটকের পর বহুল আলোচিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ ও ভারতকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে আয়োজক সাফ। রাত সোয়া ৮ টায় শেষ হওয়া ফাইনালের ভাগ্য জানতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে দর্শকদের। রাতে সাড়ে ১০ টায় মঞ্চে ওঠেন ফাইনালের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
ভারত মাঠের বাইরে চলে গেলেও পরে তারা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দুই দলের অধিনায়ক ও সহকারী অধিনায়ক মঞ্চে উঠে প্রধান অতিথির হাত থেকে এক সঙ্গে ট্রফি গ্রহণ করেন।
রাত সোয়া ৮ টায় টাইব্রেকারের সাডেনডেথের স্কোর যখন ১১-১১ তখন হঠাৎ করেই শ্রীলংকান ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়া রেফারিকে ডেকে এনে টসের মাধ্যমে ফাইনাল নিস্পত্তি করতে বলেন। রেফারি তাড়াহুড়া করে দুই অধিনায়ককে ডেকে টস করতেই শিরোপা জয়ের উদযাপন করতে থাকে ভারতের মেয়েরা। এত বিস্মিত হন বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। কারণ, টসের তো কোনো নিয়ম নেই। পুরো বাংলাদেশ দল প্রতিবাদ করতে থাকে। অন্যদিকে শিরোপা জয়ের আনন্দ করতে থাকে ভারতের মেয়েরা।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম বয়সভিত্তিক নারী সাফের এই ফাইনাল উপহার দিয়েছে চরম নাটকীয়তা। ম্যাচ কমিশনার বাইলজ ঘেঁটে দেখেন টসের নিয়ম নেই, সাডেনডেথপর্ব চলমান থাকবে যতক্ষণ কোনো দল টাইব্রেকারের শট মিস না করে। ম্যাচ কমিশনার ভুল স্বীকার করে টাইব্রেকার চলমান রাখার সিদ্ধান্ত দেন এবং ভারতকে মেনে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ভারত রেফারির সিদ্ধান্ত না মেনে মাঠের বাইরে চলে যায়। রেফারি তখন তাদের মাঠে ফিরতে ৩০ মিনিট সময় দেয়।
‘ভারত রিফিউজ টু প্লে’ করায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাই উজ্জ্বল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত হয় তা দেখতে শীতের রাতে অনেক দর্শকও গ্যালারিতে অপেক্ষা করতে থাকেন। যদিও পুলিশ আস্তে আস্তে দর্শকদের গ্যালারি থেকে বের করে দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন দেখেই ঘরে ফেরে দর্শক।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের স্কোর ছিল ১-১। ভারত ৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল করে নাটকীয়ভাবে ফাইনাল টাইব্রেকারে নিয়ে যান সাগরিকা। টাইব্রেকারে দুই দলই ৫ টি করে গোল করলে ভাগ্য নির্ধারণের জন্য শুরু হয় সাডেনডেথ। দুই দলের ১১ জন করে খেলোয়াড়ই গোল করেন। নিয়ম অনুযায়ী টাইব্রেকার চলমান থাকার কথা ছিল। রেফারি সে প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে সব মাটি করে দেন ম্যাচ কমিশনারের ভুল সিদ্ধান্ত।