খেলা

অপরাজিত থেকে নারীদের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান

হেরে গেলেও ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। কিন্তু দেখতে হতো নেট রান রেট।

ওই হিসাব আর করতে হলো না মোহামেডানকে। গত আসরে কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে না পারা দলটি এবার নারীদের প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।

বুধবার বিকেএসপিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া চক্রকে ৪৬ রানে হারিয়েছে তারা। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করে মোহামেডান। ওই রান তাড়া করতে নেমে ২০৩ রানে অলআউট হয় রূপালী ব্যাংক।

সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে হওয়া টুর্নামেন্টের ৯ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে মোহামেডান। আগেরবারের শিরোপা জেতা রূপালী ব্যাংক এবার দুই ম্যাচ হেরে চলে গেছে তিনে। মোহামেডান ছাড়াও আবাহনীর কাছে হেরেছে তারা, দুইয়ে থাকা আবাহনীর এবার হার একটি।

বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর হয়ে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান ওপেনার আয়েশা রহমান। ৮৮ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান। এছাড়া সোবহানা মোস্তারি ৯১ বলে ৬৮ ও রুমানা আহমেদ ৪০ বলে করেন ৪০ রান।

রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো করেছিল রূপালী ব্যাংক। ১৯ বলে ১৯ রান করে ওপেনার সাথী রানি বর্মণ ফিরে যান। তবে এরপর ইশমা তানজিম ৪৬ বলে ৫৪ ও ফারজানা হক পিংকি ১০৯ বলে ৬৫ রান করেন। তাদের বিদায়ের পর রূপালী ব্যাংকের হয়ে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান কেবল ফারজানা আক্তার লিসা। ৫১ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। মোহামেডানের হয়ে ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রুমানা।

একই দিনে ম্যাচ ছিল রানার্স আপ হওয়া আবাহনীরও। গুলশান ইয়ুথ ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তারা অপেক্ষায় ছিল মোহামেডানের বড় হারের। সেক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু শেষ অবধি সেটি হয়নি।

গুলশান ইয়ুথ ক্লাব পুরো ৫০ ওভার খেলে ১১৪ রান করে। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন ববিতা মেনা। আবাহনীর হয়ে ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। পরে রান তাড়ায় নেমে ওপেনার শারমিন সুলতানার ৫৫ বলে ৪৩ রানে ২০ ওভারে ১ বলেই জয় পায় আবাহনী।

এবারের মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান এসেছে মুর্শিদা খাতুন হ্যাপির ব্যাটে। ৯ ইনিংসে ৬৩.৭১ গড় ও ৮৩.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ৪৪৬ রান করেছেন মোহামেডানের এই ওপেনার। ৯ ইনিংসে ৪৪৪ রান করে দুইয়ে আছেন রূপালী ব্যাংকের ফারজানা হক পিংকি। ১৩৮.০৬ স্ট্রাইক রেট ও ৪৭.৫৬ গড়ে রান করা দিলারা দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডসহ করেছেন ৪২৮ রান।

বোলিংয়ে প্রথম দুটি অবস্থান আবাহনীর ক্রিকেটারদের। ৯ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়েছেন দলটির অধিনায়ক জাহানারা আলম, সমান ম্যাচে নাহিদা আক্তারের উইকেট ১৯টি। তিনে আছেন খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির খাতিজাতুল কুবরা, তাও নাহিদার সমান ১৯ উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d