অবরুদ্ধ করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে
সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মঙ্গলবার এইচএসসি-২০২৪ ব্যাচের অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সিনিয়র সচিব ও বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে এক ধরনের বিচ্ছিন্ন অবস্থার মধ্য দিয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, গেট ভেঙে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে একটি অস্থিতিশীল এবং অপ্রত্যাশিত পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ তারা কয়েকজন অন্য কাজে সেসময় সচিবালয়ে ছিলেন। আন্দোলনরত কয়েকশ শিক্ষার্থী কয়েকমিনিটের মধ্যে গেট ভেঙে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তারা ৬ নম্বর ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝখানে অবস্থান করে।
আলোচনার জন্য তাদেরকে প্রতিনিধি নির্ধারণ করতে বলা হয়। কিন্তু তা নির্ধারণ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। তারা প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারছিলেন না।
এই প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, পরে তাদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধিদলকে আলোচনার জন্য নেওয়া হয়। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন তদের একদল সচিবালয়ের ১৮ তলায় চলে আসে এবং সচিবের দরজায় ধাক্কা দেওয়া শুরু করে। পরে তাদের তোপের মুখে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীক্ষা বাতিল হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরও একদল সচিবালয়ে স্লোগান দিয়েছে।
উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সেখানে ঢাকার কোনো উল্লেখযোগ্য কলেজের শিক্ষার্থীদের তিনি দেখেননি।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে মঙ্গলবার স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিল হলেও তাদের মূল্যায়ন কিভাবে হবে সে বিষয়ে পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবারে পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই ও ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।