অবরুদ্ধ গাজায় দুই সাংবাদিকসহ আরও ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন দুইজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক রয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোর থেকে মুহুর্মুহু চালানো হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরার
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলায় নিহত যোগ করলে গত ৯ মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১১ জন। দখলদারদের বর্বরতায় আহত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৪৪৫ জন ফিলিস্তিনি।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরাইলি অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। ওই এলাকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ওয়াফা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ (শনিবার) ভোরে মধ্য ও উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে,মধ্য গাজার পার্শ্ববর্তী মাগাজি এবং নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়ি এবং একটি ইউএনআরডব্লিউএ গুদাম বোমা হামলায় চালায় ইসরায়েল। এতে নয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজার গাজা সিটিতে একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে আরও দুই ব্যক্তিকে হত্যা করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা আগামী সপ্তাহে আবার শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় নির্বিচারে বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাসযোদ্ধারা। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা। এমনকি শরণার্থী শিবিরে ও ত্রাণের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা ভিড়েও নিয়মিত বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।