আন্তর্জাতিক

অবরুদ্ধ গাজায় নিহত প্রায় ২৯ হাজার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯,৮৭৮ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গাজা উপত্যকার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, যুদ্ধের আগে আরবদের সঙ্গে বাণিজ্য যেরকম ছিল এখনও সেরকমই রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৬ জন নিহত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে মোট ২৯,৪১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় মোট ৭০,২১৫ জন আহত হয়েছেন। কার্যকর চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার অভাবের কারণে প্রায় ৬৬,২০০ জনেরও বেশি শিশু আহত হয়েছে। আর নিখোঁজ ও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে আরও অনেকে।

এদিকে ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নির বারকাত বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

তিনি বলেন, আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের বাণিজ্য স্থিতিশীল রয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতি জনগণের ক্ষোভ বাড়লেও পরিবর্তন হয়নি।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোনও পরিবর্তন নেই। জিনিসগুলি খুব স্থিতিশীল। আমাদের একই লক্ষ্য আছে, সেটি হলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সহযোগিতা করা।

ইসরায়েল গত কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করেছে এবং বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারিত করেছে। এই ধরনের পদক্ষেপগুলো প্রায়ই তাদের নিজ নিজ দেশে জনগণের অস্বীকৃতি সত্ত্বেও মার্কিন উৎসাহে পরিচালিত হয়েছে।

উত্তর গাজার যুদ্ধে আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত ও সাতজন সেনা আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, উত্তর গাজায় লড়াইয়ে ২৫ বছর বয়সী একজন মেজর এবং গিভাতি ব্রিগেডের একজন ২৪ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন নিহত হয়েছেন। একই ইউনিটের সাতজন সৈন্যও গুরুতর আহত হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ তার সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রতিবেদনে বলেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় স্থল আক্রমণ শুরু করার পর থেকে মোট ২৩৮ জন সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরও ১৪০৮ জন আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের ডেপুটি চিফ রমেশ রাজাসিংহাম জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন যে, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

তিনি বলেন, গাজার ২৩ লাখ লোকের প্রায় সবই এখন বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য সহায়তার উপর নির্ভর করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি অপর্যাপ্ত।যদি কিছু করা না হয়, আমরা আশঙ্কা করি গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য এবং সংঘাতে আরও অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d