অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার অনেক সওয়াব
অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার অনেক সওয়াব। অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, তার খোঁজ-খবর নেওয়া নফল ইবাদতগুলোর মাঝে উত্তম ইবাদত।
হজরত আলী (রা.) বলেছেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘যে কোনো মুসলমান সকালে যদি কোনো রুগ্ন মুসলমানকে দেখতে যায়, তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা সন্ধ্যা পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে। আর যদি সে তাকে সন্ধ্যায় দেখতে যায়, তাহলে তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি ফলের বাগান তৈরি করা হয়। -তিরমিজি ও আবু দাউদ
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে উত্তমরূপে অজু করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে তার কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যাবে, তাকে জাহান্নাম থেকে ৬০ বছরের পথ দূরে রাখা। ’ –সুনানে আবু দাউদ
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে কোনো মুসলমান কোনো রুগ্ন মুসলমানকে দেখতে যায় এবং সাত বার বলে, আমি মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি, যিনি মহান আরশের অধিকারী, তিনি যেন আপনাকে আরোগ্য দান করেন। এতে তাকে নিশ্চয় আরোগ্য দান করা হয়, যদি না তার মৃত্যু উপস্থিত হয়। -আবু দাউদ ও তিরমিজি
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে রওয়ানা হলো, সে আল্লাহর রহমতের সাগরে সাঁতার কাটতে থাকলো, যতক্ষণ না সে তথায় গিয়ে বসে। যখন সে গিয়ে বসল, তখন সে রহমতের সাগরে ডুব দিল। -মালেক ও আহমদ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে পীড়িতকে দেখতে যায়, আসমান থেকে একজন ফেরেশতা তাকে ডেকে বলেন, মোবারক হও তুমি এবং মোবারক হোক তোমার পথ চলা। তুমি জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করলে। -ইবনে মাজা
আমাদের আশপাশে অনেক অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। আত্মীয়-স্বজনদের মাঝেও অনেকে অসুস্থ। তাদের দেখতে গেলে আমাদের আমলনামায় নেকি লেখা হবে, সেই সঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বাড়বে এবং নিজেদের মধ্যে অতীতের কোনো বিষয়ে নিয়ে মান-অভিমান থাকলে তাও দূর হয়ে যাবে।