আত্মগোপনে থাকা বিএনপি নেতারা মাঠে নামতে পারেন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে (১০ ডিসেম্বর রোববার) মাঠে নামতে পারেন আত্মগোপনে থাকা চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ওইদিন নগরীর কাজীর দেউড়ি নসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অবহিত করে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. ইদরিস আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে রোববার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলার যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন হবে। এতে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছি।’ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর পুলিশের ধরপাকড় শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান চট্টগ্রাম বিএনপির প্রথম সারির নেতারা।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, মানববন্ধনের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে, নাকি কিছুটা নমনীয় হবে-তা বোঝার চেষ্টা চলছে। পুলিশের মনোভাব বুঝে তবেই মানববন্ধনের পরিসর বড় না ছোট হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রথম সারির নেতারা গাঢাকা দিয়ে থাকলেও সক্রিয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। দলের কেউ কেউ মনে করছেন, বিশ্ব মানববাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে পুলিশ হয়তো কিছুটা ছাড় দিতে পারে। তাই মানববন্ধন করার পক্ষে মত অনেকের।
দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচন সামনে রেখে সিনিয়র নেতাদের যেন কেউ দলত্যাগ কিংবা অন্য দলে যোগ দিতে বাধ্য করতে না পারে, সেজন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গা বাঁচিয়ে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় সিনিয়র নেতাদের এখন প্রকাশ্যে আসতে আর তেমন ঝুঁকি নেই। যদিও গ্রেফতারের ভয় রয়েছে। সূত্রমতে, হরতাল-অবরোধে চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। গত বুধবার দশম দফা অবরোধের প্রথম দিন নগরী ও জেলার ২১টি স্থানে মিছিল হয়েছে। এসব মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও তুলনামূলক বাড়ছে। বৃহস্পতিবার অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও বিভিন্ন স্পটে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। মামলাগুলোতে নাশকতা, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগ আনা হচ্ছে।