আনোয়ারায় দায়ের কো’পে বৃদ্ধ নি’হত
আনোয়ারায় প্রাক্তন বউয়ের স্বামীর হাতে আনোয়ার মিয়া (৫০) নামে এক বৃদ্ধ খুন হয়েছে। নিহত আনোয়ার মিয়া স্থানীয় মৃত আবদুস ছাত্তারের ছেলে।
বুধবার (২৮ মার্চ) রাত ১২ টায় উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড হাইলধর গ্রামের কাজি মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও তাসফিয়া সুলতানা (৯), আবিদুর রহমান (৮) ও রাইসা আক্তার (৬) নামে তিন শিশু সন্তান রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হল, মো. পারভেজ (২২) ,শাহজাহান (৪৫) ও তার ভাই শাহ আলম (৪২)। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আনোয়ারের বর্তমান স্ত্রী পারভিন আক্তার (৩০) বলেন, বুধবার রাত ১২ টার দিকে পারভেজ নামের এক ছেলে আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে। ২ মিনিট পর শাহাদত ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমসহ আরো তিন চারজন লোক আমার স্বামীকে ঘর থেকে টেনে হেছড়ে বের করে পাশের বিলে নিয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে।
আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
নিহতের চাচাত ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন, এসময় তার টাকাপয়সা পূর্বের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের (৪০) নামে ব্যাংকে জমা হত। ২০০৯ সালে স্ত্রী মরিয়ম বেগম স্থানীয় মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মো. শাহাদতের (৪০) সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক হয়।
এক পর্যায়ে আনোয়ার মিয়ার সব টাকা পয়সা ও গয়নাঘাটি নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে মরিয়ম বেগম শাহাদতের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে আনোয়ার হোসেন আরেকটি বিয়ে করে। এদিকে শাহাদাত দীর্ঘদিন বাহিরে থাকলেও চলতি রমজানের আগে মরিয়ম বেগমকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন।
তাদের সাথে দীর্ঘদিনের শত্রুতার জেরে গতকাল হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।
আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, হাইলধরে বৃদ্ধকে খুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।