আনোয়ারায় সাড়ে ২২ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে আধুনিক স্লুইস গেট
আনোয়ারায় ইছামতি খালে সাড়ে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ছয় কপাটের আধুনিক স্লুইস গেট। পুরনো স্লুইস গেটে শুধুমাত্র একমুখী প্রবাহ থাকলেও এটি হবে উভয়মুখী। এতে মাছের অভয়ারণ্য রক্ষাসহ উপজেলার তিন ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।
স্থানীয়রা জানান, কর্ণফুলীর শাখা ইছামতী খালের উপর ইতোপূর্বে একটি স্লুইস গেট নির্মিত হলেও অল্পসময়ে তা খালে বিলীন হয়ে যায়। এতে গত তিন বছর ধরে আনোয়ারা সদর, চাতরী ও পরৈকোড়া ইউনিয়নের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মাথার উপর রোদ থাকলেও জলাবদ্ধতায় কৈখাইনসহ আশপাশের বেশকিছু সড়কে হাঁটুপানি জমছে। চাষাবাদ একরকম বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক জনদুর্ভোগের চিত্র সরেজমিনে পরিদর্শনের পর গতকাল বুধবার পানিসম্পদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে জরুরি বৈঠক করেন। তিনি জানান, মানুষ রাস্তায় হেঁটে চলাচল করতে পারছে না। সড়কের অনেক স্থানে হাঁটুপানি জমে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে বৈঠক করে এই প্রকল্পের সন্তোষজনক অগ্রগতি পেয়েছি। তারা জানিয়েছেন আগামী ৪ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।পানি উন্নয়ন বোর্ডসূত্র জানায়, নতুন স্লুইস গেট নির্মাণে ডিজাইনের কাজ শেষ। বাঘখাইনে ইছামতি খালের উপর ছয় দরজার আধুনিক একটি স্লুইস গেট করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগের স্লুইস গেটটি তিন দরজা বিশিষ্ট ও শুধু নদীর দিক থেকে শাখা খালে পানিপ্রবাহের সুযোগ ছিল। নতুন স্লুইস গেট দিয়ে কর্ণফুলীর পানি যেমন ইছামতি খালে পড়বে, একইভাবে ইছামতিতে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে সেগুলো কর্ণফুলীর দিকেও প্রবাহিত করা যাবে। ডিজাইন চ‚ড়ান্ত করার পর টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আগামী শুষ্ক মৌসুমে অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে স্লুইস গেটের কাজ শুরু হবে। পুরো প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ২২ কোটি টাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শহীদ জানান, মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে সবকিছু দ্রুত করা হচ্ছে। বর্ষা শেষ হলে কাজ শুরু হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করতে চার মাস লাগতে পারে।