আন্দোলনের মুখে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করলেন উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছেন উপাচার্য। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করেছেন তিনি। ‘অনিবার্য’ কারণ দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে।
আজ সাড়ে ১১টায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড বসার কথা ছিল। কিন্তু উপাচার্য এসে পৌঁছেন সাড়ে ১১ টার পরে। যদিও একদিন আগেই দুই সদস্য নিয়ে নিয়োগ বোর্ডে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। নিয়োগ বোর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠ কোরাম পূর্ণ করতে অন্তত তিনজন সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল। দুজন বোর্ডে বসতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ কোরাম পূর্ণ হতোনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হাছান মিয়া নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অনিবার্য কারণে বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে। উপাচার্য মহোদয় এই বোর্ড স্থগিত করেছেন।
সম্প্রতি বাংলা বিভাগে ৭ জন ও আইন বিভাগে ২ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন নেই মর্মে দুই বিভাগের পরিকল্পনা কমিটি থেকে দেওয়া সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আপত্তির মুখে উপাচার্যের একক ক্ষমতাবলে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এ প্রক্রিয়াকে ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ এর লঙ্ঘন বলছে চবি শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা।
এই নিয়োগকাণ্ডের জের ধরে গতকাল রবিবার চবির আইন ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগবোর্ড বাতিলের দাবিতে শিক্ষক সমিতি অবস্থান নিলে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকীর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে দিনভর এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা যায়। এর মধ্যে গতকাল অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম ও অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ নির্বাচনী বোর্ড সভায় বসবেন না বলে চিঠি দেন রেজিস্ট্রার বরাবর।