আবারও রোনালদোর জোড়া গোল, জয় পেল পর্তুগাল
আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে পর্তুগাল বড় জয় পেয়েছে। যেখানে দলের বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো করেছেন জোড়া গোল। সেটিও আবার প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পর্তুগাল ইউরোর মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে। ফলে ম্যাচটি সিআরসেভেনদের জন্য ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে জোড়া গোল করেন ফুটবলের মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর আগের স্লোভাকিয়ার বিপক্ষেও জোড়া করেছিলেন তিনি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে মাঠে পর্তুগাল। ম্যাচটিতে ৫-০ গোলে জয় পেয়েছে পর্তুগাল। যেখানে সবগুলো গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
এ নিয়ে পর্তুগাল ইউরো বাছাইয়ে টানা আট ম্যাচ জিতল। ম্যাচটিতে দুরকম পর্তুগালকে দেখেছেন সমর্থকেরা। প্রথমার্ধে পর্তুগালের শক্তিশালী আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়েছে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি উল্টো পর্তুগালকে দেখা গেছে। এই ম্যাচে একটি করে গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস, জোয়াও ক্যানসেলো ও জোয়াও ফেলিক্স।
বসনিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের গোল উৎসব শুরু হয় ম্যাচের পঞ্চম মিনিট থেকে। পেনাল্টি থেকে লিড গোল করেন অধিনায়ক রোনালদো। এর আগের ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষেও জোড়া গোলের প্রথমটি পেনাল্টি থেকে করেছিলেন ৩৮ বছর বয়সী তারকা।
এ দিকে ম্যাচের ২০ মিনিটে নিজের জোড়া গোলে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন রোনালদো। এই গোলটিতে সহায়তা করেন জোয়াও ফেলিক্স। যদিও সহকারী রেফারি শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন, তবে ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারির (ভিএআর) কল্যাণে গোলটির স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর গোলসংখ্যা হলো ১২৭টি। যা ছেলেদের ফুটবলে সর্বোচ্চ।
বসনিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। ৩২ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন জোয়াও ক্যানসেলো। আর প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার আগে জোয়াও ফেলিক্স পর্তুগালকে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এই গোলটিও শুরুতে অফসাইডের কারণে বাতিল করা হলে পরে ভিএআরে সেটি দেয়া হয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্টিনেস মাঠ থেকে রোনালদোকে তুলে নেন। সে সময়ে আক্রমণেও তেমন সরব দেখা যায়নি ৫-০ গোলে এগিয়ে থাকা পর্তুগালকে। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। ৮ ম্যাচের সবকটি জিতে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে পর্তুগাল।