রাজনীতি

আমতলীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের রুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপির পাল্টাপাল্টি চাঁদাবাজির অভিযোগে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের স্থানীয়ভাবে ও আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপির উপজেলা সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা ও বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারী কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টি অভিযোগে দা, রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- যুবদল কর্মী মো. আজাদ (৪৫), শ্রমিক দল নেতা মো. মিলন (৩৬), মো. মিজানুর রহমান (৪০), বিএনপির কর্মী মো. হুমায়ুন কবির মৃধা (৩৫), মো. রেজাউল কবির (৩০) ও মজিবর রহমান আকন (৪৫)।

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, জালাল ফকিরের নেতৃত্বে আমতলী সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট স্থানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ পেয়ে আমি বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদের চাঁদা বন্দের নির্দেশ দেই।

এ সময় বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারী রাহাত, মোকলেছ, আমিনুল, মোমেন, মামুন সিকদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক রামদা লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমাদের তিনজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মিজানুর রহমানের হাত ভেঙে গেছে।

বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকির অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকালে বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে একদল বিএনপির কর্মী নিয়ে বুধবার সকালে খেয়াঘাটের মুদি দোকানদার মো. হুমায়ুন কবিরের দোকানে চাঁদাবাজি করতে যায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার দোকান ভাঙচুরসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আমির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও কোনো পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d