আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ঊর্ধ্বমুখি বিদেশি ফলের দাম
এলসি (ঋণপত্র) খোলায় জটিলতার পাশাপাশি আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেয়ায় বিদেশি ফলের বাজার মারাত্মক অস্থির হয়ে উঠেছে। আমদানি কমায় ফলের দাম চলে গেছে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তবে বিদেশি ফলের বাজার চড়া হওয়ায় দেশি ফল সেই বাজার দখল করছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
গত ৫ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কমলা-মাল্টা-আঙ্গুর-আপেল এবং নাশপাতি ফল আমদানি হয়েছে। ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকায় এসব ফলের আমদানি করা হলেও তার বিপরীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্ক হিসাবে পেয়েছে ১ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা।
মূলত চলতি অর্থবছর থেকে বিদেশি ফল আমদানিতে শুল্ক হার বাড়িয়ে দেয়ায় গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার মেট্রিক টন ফল কম আমদানি হলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩২০ কোটি টাকা।
আমদানি শুল্ক বাড়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ কমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, ‘শুধুমাত্র যে সব ফলের ক্ষেত্রে মূল্য অনেক কম দেখানো হত, অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিং যে সুযোগটি ছিল, মূলত সেই সুযোগটিকেই প্রতিহত করা হয়েছে।
তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই আমদানি করা বিদেশি ফলের ওপর শুল্কহার বাড়িয়ে ফলের বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। বিশেষ করে, আগে প্রতি কেজি আপেল-কমলা এবং মাল্টায় ৬২ টাকা শুল্ক আদায় করলেও এখন তা ঠেকেছে ৮৮ টাকায়। একইভাবে ৯৮ টাকার আঙ্গুরের শুল্কহার ১১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বিদেশি ফলের বাজার এখন অনেকটা ক্রেতা শূন্য।