আমি চাই খাতুনগঞ্জ ঐতিহ্য ধরে রাখুক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আপনাদের ভাস্যমতে সাপ্লাই চেইন নিয়ন্ত্রণ করে আমদানিকারক এবং মিলের মালিকরা। আপনাদের দায়িত্ব হলো কার কার কারণে সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হচ্ছে সে খবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো, কিন্তু আপনারা সেটা করেন না। পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা উপস্থাপন করলে ভোক্তা অধিদপ্তর আপনাদের হয়রানি করবে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ব্যবসায়ী ও অংশীজনের সঙ্গে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো অঞ্চলের পণ্য সরবরাহ ঠিক না থাকলে পণ্যের দাম বাড়বে এটাই হলো বাজারের ধর্ম। কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বসে বাজার সম্পর্কিত তথ্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অপপ্রচার রোধে বড় হাতিয়ার হচ্ছে যৌক্তিক মূল্য তালিকা প্রচার। পুলিশ কিংবা জনগণ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ এবং পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে। যদি কৃষক পণ্যের দাম কম পায় সে পণ্যের উৎপাদন কমিয়ে দেবে। ফলে পণ্যের সরবরাহ কমে যাবে এবং পণ্যের দাম বাড়বে। সুতরাং পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে এটাও সত্য যে, আগে আমাদের দেশে জাহাজ মালিক ছিল না। এখন অনেকেই জাহাজের মালিক হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, যে জাহাজের মালিক, সে মিলের মালিক আবার সে নিজেই সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা শত শত বছর ধরে সুনামের সঙ্গে সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে। আমি চাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা সে ঐতিহ্য ধরে রাখুক। একটা খাতুনগঞ্জ গড়ে উঠতে শত শত বছর লেগেছে কিন্তু ধ্বংস করতে সাত দিনও লাগবে না। একসময় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের ঢাকায় দেখা যেত না। এখন প্রত্যেক ব্যবসায়ীর ঢাকায় অন্তত একটা অ্যাপার্টমেন্ট আছে। ব্যবসায়ীদের অবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। আস্তে আস্তে সারা বাংলাদেশব্যাপী আপনাদের ব্যবসা ছড়িয়ে যাবে।
এফবিসিসিআই ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছগির আহমেদ বক্তব্য দেন।