আলপনায় রাঙা রাজপথ
৫০ জনের বেশি চিত্রশিল্পী তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে সড়ক। বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে ‘আলপনার রঙে নববর্ষ আবাহন’ শীর্ষক বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, চট্টগ্রাম।
নিপ্পন পেইন্টের সৌজন্যে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে নগরের ডিসি হিল সংলগ্ন বৌদ্ধ মন্দির সড়কে এ আলপনা করা হয়।
বৈশাখের এ আয়োজন নিয়ে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়সী রায় বলেন, পহেলা বৈশাখ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার উৎসব।
সবাই এতে সামিল হয়। এটাই আমাদের সংস্কৃতি।
অধ্যাপক সৌমেন দাশ বলেন, চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ পহেলা বৈশাখ। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি সাংস্কৃতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে। আলপনা আমাদের আবহমান সংস্কৃতির অংশ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী স্বপন আচার্য বলেন, মৌলবাদী শক্তি বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। তাদের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। শহীদদের চেতনা সমুন্নত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শিল্পী কে এম এ কাইয়ূম বলেন, আলপনা আবহমানকাল থেকে বাংলার অংশ। আগে ঘরে নানা উৎসব আয়োজনে আঁকা হত। স্বাধীনতার পর থেকে তা জাতীয়ভাবে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৬৮ সালে ঢাকা চারুকলার ছাত্র থাকাকালে শহীদ মিনার থেকে আজিমপুর পর্যন্ত সাদা রঙে আমরা আলপনা আঁকতাম। বৈশাখের আলপনায় লতাপাতা ও দেশজ মোটিফই আঁকা হয়।
ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি এ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। আমরা বাংলাকে ভালোবাসি।
এদিকে, রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ মাঠে বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সম্মিলন পরিষদের বাংলা বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক আয়োজনে পরিষদের সদস্যরা পরিবেশন করেন স্বদেশ পর্যায়ের গান। এ ছাড়া দিনব্যাপী আয়োজনে অন্যান্য সংগঠন তাদের গান, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশন করে। কথামালায় অংশ নেন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক রীতা দত্ত, সাহিত্যিক ফেরদৌস আরা আলীম, ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী প্রমুখ।