চট্টগ্রামরাজনীতি

আ’লীগের ৪ প্রার্থী নির্ভার’, স্বতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ নেই

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনেক আসনে নৌকার প্রার্থীদের যেখানে নিজের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সেখানে চট্টগ্রামের চার আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অনেকটাই ‘ভারমুক্ত’। নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ না থাকায় চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের চার প্রার্থীর নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া ‘সহজ’ মনে হলেও অন্য দলের প্রার্থীদেরও ‘সমান গুরুত্বপূর্ণ’ বলছেন তারা।

চট্টগ্রাম-৭ আসনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং চট্টগ্রাম-৬ আসনে বর্তমান এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া কোনো আওয়ামী লীগ নেতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।

বিএনপিবিহীন নির্বাচনে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় এই তিন মন্ত্রী ও এক এমপির নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া ‘অনেকটাই সহজ’ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। যদিও বিষয়টিকে সেভাবে না দেখে প্রার্থী ও তাদের নিবার্চনি সমন্বয়কারীরা বলছেন, ভোটে অন্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াইটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব আসনে আওয়ামী লীগের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী না হওয়ার ব্যাখ্যায় তারা বলছেন, নিজ নিজ এলাকায় তাদের ‘জনপ্রিয়তা’ এবং ‘দলীয় সংহতির’ কারণে আসনগুলোতে দলের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এবারও নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এ পরিস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এড়াতে এবং ভোট ‘অংশগ্রহণমূলক’ দেখাতে নৌকার মনোনীত প্রার্থীদের বাইরে দলের অন্যদেরও স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়েছে আওয়ামী লীগ; তাতে সাড়াও মিলেছে।

শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের নেতারা নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড়িয়ে গেছেন। বর্তমান এমপি হয়েও যারা নৌকার টিকেট পাননি, তাদের অনেকে লড়ছেন স্বতন্ত্র হয়ে। প্রভাব বা জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তারাও পিছিয়ে নেই। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক আসনে জয়-পরাজয়ের অংকে ‘সমানে সমান’ টক্কর দিচ্ছেন, ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছেন নৌকার প্রার্থীরা। আধিপত্য দেখাতে গিয়ে স্বতন্ত্র ও নৌকার সমর্থকরা সংঘাতেও জড়িয়েছেন কোথাও কোথাও।

এবারের নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নয়টিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জোর টক্কর দিচ্ছেন।

জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া দুটি আসনেও আওয়ামী লীগের মোট চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়াইয়ে আছেন। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তারা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d