ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে পারে ইসরায়েল, এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ প্রধান।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ প্রধান সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এবং এই হামলার শঙ্কার কারণে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি।
দিন দুয়েক আগেই ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চালানো এই হামলার পর ‘বল’ এখন ইসরায়েলের কোর্টে এবং হামলার জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে।
সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।
মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে দিন দুয়েক আগেই ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানায় তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।
তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চালানো এই হামলার পর ইসরায়েলের সামরিক প্রধান সোমবার বলেছেন, তার দেশ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার জবাব দেবে। যদিও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান অবশ্য বলেছেন, ইসরায়েলের পাল্টা যে কোনও আক্রমণকে ‘শক্তিশালী’ এবং ‘বিস্তৃত’ জবাব দিয়ে মোকাবিলা করা হবে।
এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইরান ‘নিরাপত্তা বিবেচনায়’ রোববার তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং সোমবার সেগুলো আবার চালু হলেও ‘যতক্ষণ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত না হচ্ছে’, ততক্ষণ তিনি আইএইএ পরিদর্শকদের সেখান থেকে দূরে রেখেছেন।
গ্রোসি নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার আবারও এটি শুরু করতে যাচ্ছি। এটি আমাদের পরিদর্শন কার্যকলাপের ওপর প্রভাব ফেলেনি।’