ইসরাইলি নির্মমতা অব্যাহত গাজায়, খাদ্যের জন্য হাহাকার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্মমতা অব্যহত রেখেছে ইসরায়েল। পরিস্থিতি বিশ্বের সব মানবিক সীমা পার করেছে। এরপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থা জাতিসংঘ বিশেষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। মিশরের রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা এই যুদ্ধকে যথেষ্ট হয়েছে বলে অভিহিত করেছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা অকল্পনীয় দুর্ভোগের কথা বলেছেন এবং গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন।এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব জানান যে, গাজায় ক্ষুধা বাড়ছে। সেখানে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। আল জাজিরার
গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য ভয়াবহ অবস্থার অবনতি হওয়ায় জাতিসংঘের বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোট দিয়ে এসেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত লানা নুসিবেহ বলেন, গাজাবাসী অপুষ্টি, ভেঙ্গে পড়া চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং পানি ও খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে।
ইসরায়েল আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথে গাজায় ভয়াবহ বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর থেকে কার্যত গাজাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ১৮ হাজারের বেশি লোক নিহত এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা সোমবার বলেছেন যে, গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত ২০৮ ফিলিস্তিনিদের মৃতদেহ গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে পৌঁছেছে। একই সময়ে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪১৬ জন।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজাবাসীকে ক্ষুধা গ্রাস করেছে। সেখানে পর্যাপ্ত সহায়তা নেই। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অধিকাংশ মানুষ শুধু কনক্রিটের ওপর ঘুমাচ্ছে।
রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া গাজার পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে যুদ্ধবিরতি বিরোধী দেশগুলোকে বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া উচিত এবং ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা দেওয়া উচিত।
এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময়ে গাজায় কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় সেটি খুবই সামান্য বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।