ই-পাসপোর্ট সেবায় খুশি খাগড়াছড়ির সেবা গ্রহীতারা
খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেছেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
শুক্রবার (২৭অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা সদরস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভবন উদ্বোধনে সভাপতিত্ব করেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. ছারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, খাগড়াছড়ি’র বিভিন্ন সরকারি অফিসের সেবার মান নিয়ে নানা অভিযোগ এবং অসন্তোষ থাকলেও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। কাঙ্খিত সেবা পেয়ে খুশি সেবা প্রত্যাশী ও গ্রহীতারা। কর্তৃপক্ষের নানামুখী উদ্যোগ আর নজরদারিতে গতি পেয়েছে ডিজিটাল সেবাদান কার্যক্রম। পাসপোর্ট অফিসে আবেদন গ্রহণ থেকে শুরু করে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পাসপোর্ট ডেলিভারিসহ প্রতিটি স্তরে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা।
জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালেব সরকার জানান, খাগড়াছড়িতে ই-পাসপোর্ট পেতে গড়ে প্রতিদিন জমা পড়ছে ৫০ থেকে ১০০টি আবেদন। অনলাইনে জমা দেয়া এসব আবেদনের বিপরীতে প্রতিদিন প্রায় ৯০ শতাংশ ই-পাসপোর্ট ডেলিভারী দিচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিছুদিন আগেও পাসপোর্ট করাতে এসে নানান ভোগান্তির শিকার হতে হতো সেবা প্রত্যাশীদের। তবে এখন আর সেই দুর্ভোগ নেই, কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই নির্ধারিত সময়ে ই-পাসপোর্ট পাচ্ছেন তারা। আবেদনকারীরা চাইলেই ওয়েবসাইট থেকেও জেনে নিতে পারছেন হালনাগাদ তথ্য। হয়রানিমুক্ত পরিবেশে নেই কোনো দালালের ভোগান্তি। দালালদের দৌরাত্ম্য রোধ করতে এবং সেবা প্রত্যাশীদের সকল প্রকার ভোগান্তি থেকে এড়াতে কঠোর নজরদারী রয়েছে বলে জানান তিনি।
সেবা গ্রহীতা সুমিনা ত্রিপুরা বলেন, ই-পাসপোর্ট কারণে আমরা খুব সহজে ও দালালমুক্তভাবে পাসপোর্ট করতে পারছি। কোন ধরনের হয়রানির স্বীকার হয় না।
উদ্বোধনকালে পৌরসভা মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসীম উদ্দিন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা মো: আব্দুল মোত্তালেব সরকার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর প্রধান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে খাগড়াছড়ি নব-নির্মিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিজস্ব ভবনটি প্রায় ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সম্পূর্ণ অফিসটি ২৫ শতাংশ জায়গার উপর স্থাপিত হয়েছে এবং মূল ভবনের আয়তন ৮হাজর ৮’শ ২৬ বর্গফুট। এটি একটি ৫ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ৩ তলা ভবন। ভবিষ্যতে চাহিদা অনুযায়ী আরো দুটি তলা সম্প্রসাণের সুযোগ থাকছে। সুপরিসর অফিস ভবন থেকে জেলার সকল নাগরিক সানন্দে ও সহজভাবে পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।