ধর্ম

ঈদুল আজহায় স্বজন ও গরিবদের প্রতি গুরুত্ব দেবেন যে কারণে

ঈদুল আজহায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা পশু কোরবানি করে থাকেন। এর মাধ্যমে আল্লাহর হুকুম পালন এবং তার প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করা হয়। গোশত খাওয়া কোনো মুসলমানের উদ্দেশ্য নয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আল্লাহর কাছে পৌছায় না সেগুলোর গোশত এবং রক্ত, বরং তার কাছে পৌছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এদেরকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়াত করেছেন; কাজেই আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে।’ (সূরা হজ, আয়াত : ৩৭)

ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আত্মোৎসর্গ, নিজের ভেতরে থাকা পশুত্বের মূলতপাটন এবং একমাত্র রবের সন্তুষ্টি। ঈমান আনয়নের মাধ্যমে সবাই মুমিন বা মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ঈমান গ্রহণের সাথে সাথেই প্রতিটি মুমিন ইসলামের সকল বিষয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে। সুখ দুঃখ এবং সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা সর্বাবস্থায় ইসলামই একমাত্র অনুশাসন একথাটি নিজের মধ্যে দৃঢ় করে নেয়া। প্রকৃত মুমিনের মৌলিক চিন্তা চেতনা এমন হওয়াটাই কাম্য।

ঈদ মুসলিম এবং প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে আনন্দ খুঁজে পাওয়ার অনন্য মাধ্যম। ইসলাম একটি তাৎপর্যপূর্ণ ধর্ম। এর প্রতিটি আদেশ নিষেধের সাথে জড়িয়ে আছে মুসলিমদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা এবং প্রশান্ত করা। নিজের পাশাপাশি অন্যরাও যেন ঠিকমতো আনন্দ উপভোগ করতে পারেন তাই সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতিতে কোরবানির গোশত বন্টন করা উচিত। নিজের নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী, গরিব-দুঃখী যারা কোরবানি করতে পারেননি, তাদেরকে কোরবানির একটি অংশ হাদিয়া দেওয়া উচিত। এতে করে সবাই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন।

রাসূল সা. নিজেও কোরবানির গোশত বন্টনের ক্ষেত্রে স্বজন ও গরিবদের প্রাধান্য দিতেন। আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানির গোশত একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d