ঋণ শোধ করতে সন্তানকে নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বাবা
জমি ক্রয়ের জন্য কিছু টাকা ঋণ করেন বাবা। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। ঋণ পরিশোধ করতে ছেলে নিয়ে রাস্তায় বসেন ওই বাবা। ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এ ঘটনা ঘটে।
রাস্তার পাশে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বসে আছেন বাবা। প্ল্যাকার্ডে হিন্দিতে লেখা ‘ছেলে বিক্রি আছে, আমি আমার ছেলেকে বিক্রি করতে চাই।’ এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় ওঠে পুলিশ।
আলিগড়ে অটো রিকসা চালান রাজকুমার। দারিদ্র তার নিত্য সঙ্গি। তাই দারিদ্রতার জন্য ছেলেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি জন্য ফুটপাতে বসে পড়েন।
এনটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি জমি কেনার জন্য স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ করেছিলেন রাজকুমার। কিন্তু ওই মহাজন এমন কলকাঠি নাড়েন যে রাজকুমার জমি কিনতে পারেননি। ঋণ করা টাকাও জলে যায় রাজকুমারের। ঋণের দায়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন রাজকুমার। অন্য দিকে মহাজন টাকা তুলতে অত্যাচার শুরু করেন।
রাজকুমারের অভিযোগ, একাধিকবার তার পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। করা হয়েছে মারধর। এমনকি টাকা না পেয়ে রাজকুমারের অটোরিকসাটি মহাজন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সব হারিয়ে অসহায় রাজকুমার সিদ্ধান্ত নেন নিজের ছেলেকেই বিক্রি করে দেবেন। সেই অনুযায়ী প্ল্যাকার্ড লিখে ফুটপাথে বসে পড়েন স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে।
থানায় গেলে পুলিশ তাকে ধমক দেয়। এফআইআরও নেয়নি পুলিশ। রাজকুমারের দাবি, ইতিমধ্যেই তিনি ঋণের ছয় হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বাকি টাকাও ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে প্ল্যাকার্ডে লিখে ছেলেকে বিক্রি করার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টিকে প্রকৃত অমৃতকালের সঙ্গে তুলনা করে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব। তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্ত মহাজনকে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা হয়। রাজকুমারও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।