এই বিচারে আমার কোনোকিছুই পরিবর্তন হবে না: লামিয়া
২৫ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। অপরাধীরা যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক—বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। রিয়েলিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাঁদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।’
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেই খুনের মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
ঢাকাই সিনেমার তারকা জুটি সোহেল চৌধুরী ও দিতির দুই সন্তানের মধ্যে লামিয়া চৌধুরী বড়। ছেলে শাফায়েত চৌধুরী কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে করে ইউরোপে থিতু হয়েছেন। কানাডার টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে নির্মাণে মনোযোগী হয়েছিলেন লামিয়া।
শৈশবেই বাবাকে হারানোর পর মা দিতির কাছেই বেড়ে উঠেছেন লামিয়া ও শাফায়েত। ২০১৬ সালে দিতির মৃত্যুর পর মা-বাবার স্মৃতিচিহ্ন নিয়েই বেঁচে আছেন তাঁরা।