জাতীয়

এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে যেন অন্যের বিরাগভাজন না হতে হয়

এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে যেন অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন না হতে হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে প্রতিরক্ষা কূটনীতি বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

মিয়ানমার সংকটের প্রসঙ্গ টেনে সেনাপ্রধান বলেন, সে দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে আমাদের। যদিও দেশটির সামরিক বাহিনীর নিজস্ব জটিলতার কারণে সব সম্ভব হচ্ছে না। দেশটির (মিয়ানমার) কোনো কোনো জেনারেলের ওপর (পশ্চিমা) বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আছে। ফলে এই ঝুঁকি বর্তমানে বাংলাদেশ নেবে না। এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে যেন অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে না হয়, সেটা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে যেটুকু করা সম্ভব, তা করা হয়েছে।

জাতীয় নীতি থেকে প্রতিরক্ষা কূটনীতি নির্ধারণ হলেও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই খাতে বাজেট ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সামরিক বাহিনীর পুর্নগঠনের সক্ষমতা আছে। জাতীয় স্বার্থ ও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় সামরিক বাহিনী সদা প্রস্তুত এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বৈদেশিক নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার সর্বোচ্চটুকু করছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d