ওদের সুমতি হোক, অগ্নি-সন্ত্রাস বন্ধ করুক-প্রধানমন্ত্রী
ওদের সুমতি হোক।এই ধ্বংসযজ্ঞ, অগ্নি-সন্ত্রাস বন্ধ করুক মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সরকারের উন্নয়নে দেশের মানুষ যখন একটু স্বস্তিতে ছিল, তখন বিএনপি ও তাদের মিত্ররা ফের ‘জ্বালাও-পোড়াও’ করে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে বলে ।তিনি বলেছেন, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা যেখানে ফাইনাল পরীক্ষা দেবে, তাদের লেখাপড়া নষ্ট করছে।
মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচিতে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “এদেশের মানুষ একটু স্বস্তিতে ছিল, শান্তিতে ছিল, উন্নয়নটা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়েই আবার সেই অবরোধ, অগ্নি সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, গাড়িতে-বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করা হচ্ছে।
বিএনপি আসলে নির্বাচনে আসতে চায় না মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, “আপনারাই বলেন, ৩০টা আসন যারা পেয়েছিল, তাদের তো নির্বাচনে আসার আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না।
নির্বাচনকে বানচালের করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে একটা ভোগান্তিতে ফেলাই তাদের চেষ্টা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। তবে ভোট না দিলেও তার ‘আফসোস থাকবে না’।
আমি দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়ে এসেছি। এইটুকু তো করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি আমরা। জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে।
আসন্ন নির্বাচনের আগেই এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের নির্বাচনও ঘনিয়ে এসেছে। হয়ত দুয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তার আগেই আমাদের কাজগুলো উদ্বোধন করে দিতে চাই।
এর কারণ হল, ১৯৯৬ সালে অনেকগুলো কাজ করেছিলাম। তখন সবগুলো তখন উদ্বোধন করতে পারিনি। তখন পরবর্তীতে যে সরকার এসেছে, সরকারে আসার এক মাসের মধ্যেই সেই দক্ষিণাঞ্চলে গাবখান ব্রিজ উদ্বোধন করার সময় খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিচ্ছে যে, এই সরকার কোনো উন্নয়নই করেনি। মানে উনি একমাসের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ করে ফেলেছে। তাই এবারে আমরা যেটুকু কাজ করেছি, উদ্বোধন করে দিয়ে যাই।
সরকার তৃণমূল থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ। তারও পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। সেজন্য প্রযুক্তি শিক্ষা, কম্পিউটারসহ সব শিক্ষার ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। তৃণমূল থেকে আমরা দেশের উন্নয়নের কাজ শুরু করেছি।প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ শহরের সুবিধা পাবে, সেজন্য রাস্তা-ঘাট, রেল, সড়ক সব ব্যবস্থা করছি। ব্যবসা-বাণিজ্য সব জায়গাতেই আমরা সুবিধা নিয়ে এসেছি।
বস্তিবাসীদের জন্য আমরা ফ্ল্যাট নির্মাণ শুরু করেছি, বেদে শ্রেণিতে ভূমিতে ঘর দিয়েছি, হিজড়াদের আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি, পুনর্বাসন করেছি, পরিবারের সাথে যেন বাস করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছি।হরিজন, যারা পরিচ্ছন্নকর্মী তাদের জন্যও আমরা ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে আমরা সারা দেশে আমরা করব।