ওয়ারীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর ওয়ারীতে আলআমিন (৪২) ও নুরুল আমিন (৩২) নামে দুই ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে পৃথক সময় মরদেহ দুটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালে নিহত নুরুল আমিনের শ্যালক মো. জুবায়ের জানান, নুরুল আমিন ও আলআমিন দুইজন আপন ভাই। নুরুল থাকতেন ডেমরা বাঁশের পুল এলাকায় আর আলআমিন থাকতেন ওয়ারী এলাকায়। নুরুল আমিন রাইট শেয়ারিং করতেন।
তিনি জানান, সকালের দিকে ওয়ারী থানা এলাকায় তাদের পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে নুরুল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ একটি ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আমরাও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আসি। এর আগে তার বড় ভাই আলআমিনের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় লোকজন।
তিনি আরও জানান, আলআমিন ওয়ারী এলাকায় বিএনপির কর্মী ছিলেন বলে আমি জানতে পেরেছি। তবে নুরুল আমিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে কারা কেন তাদের হত্যা করেছে বিষয়টি জানাতে পারেননি জুবায়ের। তবে পূর্ব শত্রুতা জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে জুবায়ের অভিযোগ করেন।
এদিকে হাসপাতালে আলআমিন ভূঁইয়ার স্ত্রী মুনমুন ভূঁইয়া জানান, তারা ওয়ারীর এ কে এম সাহা লেনে থাকতেন। তার স্বামী আলআমিন গার্মেন্ট ব্যবসা করতেন। এছাড়া আলআমিন ওয়ারী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলেও দাবি করেন মুনমুন।
মুনমুন অভিযোগ করে বলেন, গত দুই বছর আগে ওয়ারীর হাটখোলা এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার জন্য একটি কোম্পানিকে টাকা দেন। কিন্তু তারা ফ্ল্যাটের কোনো কাজ না করায় সকালে তারা দুই ভাই হাটখোলায় ফ্ল্যাটের জায়গাটি দেখতে যান। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।