কক্সবাজার সমুদ্র উপভোগে যুক্ত হচ্ছে ‘স্বপ্নতরী’
কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের বিকাশে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ‘স্বপ্নতরী’। যেটি কক্সবাজারে আগত পর্যটকসহ ভ্রমণপিয়াসু মানুষকে দেবে সমুদ্র উপভোগের সুযোগ। যার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের আরও একটি নতুন দ্বারের উন্মোচন হতে চলেছে। কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্স লিমিডেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান ‘এমভি স্বপ্নতরী’ নামের এই নৌযান চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজারের ইনচার্জ হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানিয়েছেন, কাঠের তৈরি নৌযানটির ধারণ ক্ষমতা ১৪৬ জন। তিনি জানান, এটি প্রতিদিন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সমুদ্রে যাত্রা দেবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট হয়ে যাত্রা দিয়ে মহেশখালীর সোনাদিয়া, শাপলাপুর পয়েন্ট ঘুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট হয়ে ঘাটে ফিরে আসবে। আর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর কস্তুরা ঘাট নতুন ব্রিজ পার হয়ে আবার নাজিরারটেক নতুন এয়ারপোর্ট রানওয়ে হয়ে মহেশখালীর আশপাশে ঘুরে ঘাটে ফিরবে।
তিনি আরও জানান, নৌযানটিতে সবসময় ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত থাকবে, থাকবে আনসার সদস্যও। পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, লাইফবয়া ও অগ্নিনির্বাপকসহ যাবতীয় সরঞ্জাম মওজুদ রয়েছে।
হোসাইন ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে সকালের যাত্রায় দুপুরের খাবারসহ জনপ্রতি এক হাজার ৬০০ টাকা নেয়া হবে। দুপুরের খাবারে থাকবে চিংড়ি, মুরগি, সবজি, ডাল, সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস ও পানি। রাতের যাত্রায় জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় পিঠা ও স্থানীয় কয়েক রকমের খাবার থাকবে।
তিনি আশা করছেন আগামী ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। কক্সবাজার পর্যটনশিল্প সমিতির সভাপতি বেলাল আবেদিন ভূট্টো জানান, পর্যটনের জন্য খুব সম্ভাবনাময় সমুদ্র শহর কক্সবাজার। যেখানে বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ, সেন্টমার্টিন যাত্রা, রামু বৌদ্ধবিহারসহ কয়েকটি স্পটেই সীমাবদ্ধ পর্যটকের আনাগোনা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমুদ্র, পাহাড়দ্বীপ মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ আরও অনেককিছুই রয়েছে। এটার জন্য স্বপ্নতরীর সংযোগ পর্যটনশিল্পের আরও একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। এতে বিকশিত হবে পর্যটন।