অর্থনীতি

কমেছে বিদেশি ফলের দাম

শীতকাল আসায় রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিদেশি ফলের দাম। মৌসুমি দেশি ফলের দাম রয়েছে ক্রেতার নাগালের মধ্যে।তবে ফলের দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা ও মধুবাগ এলাকার ফলের দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ দুই এলাকার ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে মানভেদে প্রতিকেজি অস্ট্রেলিয়ান আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, ফুজি আপেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, গোল্ডেন আপেল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, গালা আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রিমিয়াম আপেল ২৬০ টাকা, চায়না গালা আপেল ২৫০ টাকা, কমলা ১৮০ টাকা, মাল্টা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, কমলা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, ড্রাগন ২০০ টাকা, আনার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, নাশপাতি ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, চাইনিজ কমলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সুইট কমলা ৩০০ টাকা, পাতা কমলা ৩০০ টাকা, লাল আঙুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, সাদা আঙুর ৩২০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, এক মাস আগেও প্রতিকেজি মাল্টা ৪০০ টাকা, কমলা ৩০০ টাকা, ফুজি আপেল ৩৮০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান আপেল ২৮০ টাকা, গোল্ডেন আপেল ৩৫০ টাকা, চাইনিজ কমলা ২০০ টাকা, সুইট কমলা ৪০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা। কয়েক ধরনের আপেল নতুন এসেছে, যেগুলো এক মাস আগে বাজারে ছিল না।

দোকানের তুলনায় ভ্যানে করে ফল আরও কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।

গত কয়েক মাস ধরে আকাশছোঁয়া বিদেশি ফলের দাম কমার কারণ হিসেবে তারা জানান, শীতকালে আপেল, কমলা, আঙুরের মতো ফলের সিজন। তা ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে ফলের দাম বাড়তি থাকায় বিক্রি প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই বিদেশি ফলের দাম কমেছে। সামনে দাম আরও কমবে।

তবে এতেও বিক্রি বাড়েনি বলে দাবি করেছেন প্রায় সব বিক্রেতা। রামপুরা কাঁচাবাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম বলেন, বাড়তি দামের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কমে গিয়েছিল। ক্রেতারা কিনছিল না। এদিকে বিভিন্ন বিদেশি ফলের সিজনও শুরু হয়েছে। শীতকালে কমলা, আপেলের মতো ফলের দাম কম থাকে। তাই প্রায় সবধরনের বিদেশি ফলের দাম কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d