কর্ণফুলীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী
কর্ণফুলী নদীর জায়গায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে কিনা দেখবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাছান চৌধুরী নওফেল। প্রকল্প সম্পর্কে তিনি অবগত নন জানিয়ে সাধারণ দৃষ্টিতে এ প্রকল্প নদীর জন্য ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
শনিবার (৮ জুন) এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে জেলা প্রশাসনের ভূমিসেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী নওফেল বলেন, আমি এখনো অবগত নই। হঠাৎ নদীর মধ্যবর্তী জায়গায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে। সেটি আমার যে সাধারণ দৃষ্টি, সেটিতে নদীর জন্য কখনো ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পরিবেশ সংক্রান্ত ক্লিয়ারেন্স নিয়েছে কিনা সেটাও আমাদের দেখতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কোন প্রকল্প করা সেটা যথাযথ নয়। এই বিষয়ে আমি পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলব।
ঈদুল আযহার পরে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘সেটা আমরা বিবেচনা করছি ঈদুল আযহার পরে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও আমাদের কিছুটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছিল।’
মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সেই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম অর্থাৎ তাদের সন্তানদের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক কোটার যে বিষয়টি ছিল। সেটা যথাযথ প্রতিপালনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় অমান্য করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে মুক্তিযুদ্ধের এত সময় পরে এসেও তাদের সন্তানদের জন্য রাখা কোটা প্রশ্নে কিছু মানুষের এত উষ্মা। দেশ যারা স্বাধীন করে দিয়েছেন তাদের সন্তানদের দিয়ে তারা যদি দ্বিতীয়বার প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।