কর্ণফুলীর নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম কর্ণফুলীর সুপার পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেডের কর্মচারী ও নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধরের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। এতে আরো অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৪/৫ জন মহিলাকে। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ৯টায় কর্ণফুলীর জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর (৩নং ওয়ার্ড) দীঘিরপাড় সুপার পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড এর লেবার শেডে মারামারির এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় সুপার পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড এর সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. মোছলেহ উদ্দিন (৬০) বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন।
মামলায় আসামিরা হলেন-কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ডাঙারচর দীঘিরপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে মো. সেলিম (৩৫), মো. আব্দুর রহিম (৩৮), আব্দুল হালিম (৪০), মো. আব্দুল হাকিম (৩২),
মৃত ছালে আহমেদ এর ছেলে মো. শফিউল আলম (৫৫) ও মো. জানে আলম (৪৮) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন মহিলা।
মামলার এজাহার ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলীর সুপার পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড এর মালিক মো. মোস্তাফা হায়দার জুলধার জনৈক নুরুল হক, জাফর আহমদ ও জানে আলমের কাছ থেকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ১১৮ দশমিক ৮৭ শতক জমি বায়না করেন। জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বিক্রেতারা কোম্পানির প্রতিনিধিকে জায়গার দখল বুঝিয়ে দেন। কোম্পানি দখল বুঝে পেয়ে জমিতে মাটি কাটা, মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ করে আসছেন।
গত ২৯ মে সকাল ১১টার দিকে মো. সেলিম কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রিকসন মালাকারকে ফোন করে তার পালিত গরু লেবার শেডের ভেতরে রাখার প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান।
গত ৪ জুন সকালে সুপার পেট্রোক্যামিক্যালের কন্ট্রাক্টর জুয়েল লেবার শেডে কাজ করতে গেলে মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা কাজ করতে বাঁধা দেন। নিরাপত্তা প্রহরী কামাল ফোন করে বিষয়টি কোম্পানিকে জানায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি দেখতে রিকসন মালাকা, বাহার ও অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে যান। এতে দুপক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়।
হঠাৎ মো. সেলিম ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে লোহার রড ও ইট দিয়ে বাহারকে মারধর করে জখম করে। কোম্পানির নিরাপত্তা প্রহরী মো. রাসেলকে ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন। তাদের এলোপাতাড়ি মারধরে দুজনের হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান। এদেরকে রক্ষা করতে ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা আনসার এপিসি মো. মোকছেদুর রহমান (৪৫) এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে জখম করেন বলে বাদি জানান।
পরে কোম্পানির অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, সুপার পেট্রোকেমিক্যাল ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা প্রহরীদের মারধরের ঘটনায় সিকিউরিটি ইনচার্জ মোছলেহ উদ্দিন বাদি হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।