কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুতের ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী
ভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিসি) প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহককে (৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতাধীন ৮০টি পবিসি। রোববার সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আরইবির দ্বৈতনীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের পবিসির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ভোলা জেলা পবিসের ২ জন সহকারী মহাব্যবস্থাপককে (এজিএম) সাময়িক বরখাস্ত, ২ জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলি এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ২ জন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে। সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহককে (৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ, পদবী, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বৈষম্যগুলো দূর করে আরইবি এবং পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা, ৫ শতাংশ প্রণোদনা জুলাই-২৩ থেকে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম বা ডিষ্টারবেন্স এলাউন্স, চিকিৎসা ভাতা চান আন্দোলনকারীরা।