কাকডাকা ভোরে ভ্যান করে সবজি, মাছ, মুরগির বাজার
চট্টগ্রাম: কাকডাকা ভোরেই সবজি, মাছ, মুরগি, ফলমূল বোঝাই রিকশাভ্যান আসতে থাকে। সড়কের দুইপাশে লাইনে দাঁড়ায়। আলো ফুটতেই পণ্যের পসরা সাজানোর কাজটা শেষ. তারপর হাঁকডাক, দর কষাকষি আর জমজমাট বেচাকেনা। নয়টার দিকে সড়ক ফাঁকা, বাজার শেষ। বিক্রেতারা ঢুকে পড়েন অলিগলিতে। নগরের ডিসি হিল ঘিরে অস্থায়ী ভোরের বাজারের চিত্র এটি।
সব ধরনের তাজা শাক সবজি, মাছ, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, ডাব, কলাসহ ফলমূল, দেশি মুরগি এমনকি শীতের পোশাকও বিক্রি হতে দেখা গেছে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে। সব মিলে শতাধিক বিক্রেতা, কয়েকশ ক্রেতা। কারও ফুরসত নেই কথা বলার। অফিস, ব্যবসা, সন্তানের স্কুল যেন তাড়া করছে তাদের।
ডিসি হিলে পাঁচ-ছয়টি সংগঠনের সদস্যরা শরীর চর্চা কিংবা হাঁটতে আসেন ভোরে। মূলত এই যে হাজারো মানুষ ভোরের পাখি হয়ে আসে তাদের জন্যই এ বাজার গড়ে উঠেছে. সামুদ্রিক ও চাষের মাছের পাশাপাশি কাট্টলী, আনোয়ারাসহ বিভিন্ন উপজেলার খাল বিল নদী সাগরের তাজা কিছু দেশি মাছ আসে। বাজারের চেয়ে দামও কম।
শুধু ডিসি হিলের ভোরের পাখিরা নয়, এখানে বাজার করেন স্থানীয় লোকজনও। তাদের মধ্যে আবার মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। যারা বাজার নিয়মিত করেন তারা খুশি। যারা মাঝেমধ্যে করেন তারা বলেন, সড়কে এ বাজারের কারণে হাঁটাচলায় অসুবিধা হয়, মাছপচা দুর্গন্ধ ছড়ায়।
অন্তত ৮-১০টি রিকশাভ্যানে মাছ বিক্রি হচ্ছিল। থালি, কাটা ড্রামে পানি ভরে জীবন্ত মাছ রাখা হয়েছে। জীবন্ত চিংড়ি, কই, রুই, কাতলা, মৃগেল, শিং, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, টাকি, শোল, মাগুর যেমন মিলে তেমনি রূপচাঁদা, সুরমা, নারকেলি, পোয়া, লইট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যায়। সাগরের শাপলা (স্টিং রে) মাছ, রাঙামাটির কাচকি, চাপিলা মাছও বিক্রি হয় শীতকালে। বড় মাছ কাটার ব্যবস্থা রয়েছে পাশের ঝাউতলায়।