কাপ্তাইয়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। যে এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে, সেই কাপ্তাইয়ের লোকজনকে প্রতিনিয়ত লোডশেডিংয়ে কবলে পড়তে হচ্ছে। আকাশে মেঘের গর্জন ও বৃষ্টি শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। গ্রাহকদের অভিযোগ, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ভেলকিবাজিতে এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের।
জানা গেছে, গত ২ মাস ধরে উপজেলাজুড়ে দিনে ৮-৯ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার খেলায় মেতে থাকে। বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজিতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষজন। সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন শিল্প, কারখানা, ব্যাংক, বীমা ও অফিসে কাজ করতে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ঘটছে ব্যাঘাত।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, যে উপজেলায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সে এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হয়। তাছাড়া লোডশেডিংয়ের একটা মাত্রা থাকে। কিন্তু গত মাস দুয়েক ধরে এটা এত বেশি বেড়েছে যে, আমরা যারা টিনের ঘরে বসবাস করি, বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের ঘরে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে যায়। গরম সহ্য করতে না পেরে ছোট বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে, বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপ্তাই উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী একেএম শামসুল আরেফিন জানান, বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই মূলত কিছু এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সম্প্রতি ঝোড়ো বাতাসে ডালপালা ভেঙে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে এ সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
তিনি জানান, সবচেয়ে বড় সমস্যা- বিদ্যুৎসংযোগ দ্রুত মেরামত বা সেবা দেওয়ার মতো জনবল আমাদের নেই। নেই অন্যলোক দিয়ে কাজ করানোর মত আলাদা বাজেটও। তবে অতি শীঘ্রই কাপ্তাইয়ে নতুন একটি ট্রান্সমিটার সংযোগ করা হচ্ছে। সেটি বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুৎয়ের সমস্যা কমে আসবে- যোগ করেন তিনি।