কাপ্তাইয়ে জমে ওঠেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা
আগামী ২১ মে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে জমে ওঠেছে প্রচারণা। প্রার্থী থেকে সমর্থকরা ছুটছেন ভোটারদের কাছে, দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। তবে এখনো পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোন ঘটনা কাপ্তাইয়ে ঘটেনি। তাতে তীব্র দাবদাহেও চাঙ্গা ভোটের মাঠ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন, ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন, ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এবং ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থীরা উঠান বৈঠক করেছেন এবং অনেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। প্রায় প্রার্থী কাপ্তাইকে মডেল উপজেলা, পর্যটন বান্ধব এবং অসাম্প্রদায়িক উপজেলা হিসাবে গড়ে তোলার আশ্বাস দিচ্ছেন। ব্যতিক্রম প্রতিশ্রুতি দিতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে দেখা যায়নি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, এবার চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন করে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ২ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে।
তিনি বলেন, প্রচার প্রচারনায় সেখানে যাচ্ছি, ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। একই কথা বলছেন দোয়াত কলমের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: নাছির উদ্দিন।
ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুব্রত বিকাশ তনচংঙ্গ্যা বলেন, প্রতিদিন সকাল হতে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটে যাচ্ছি। জনগণ ভোট দিতে পারলে আশা করছি জয়ের মালা ঘোড়া প্রতীকের হবে। ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি এবং জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বলে একই কথা বলছেন ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তবে এখনো পর্যন্ত ভোট নিয়ে কোন প্রার্থী অভিযোগ করেননি কিংবা শঙ্কা প্রকাশ করেনি।
এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এখনো কোন প্রার্থী কারও বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ করেনি। একটি সুন্দর পরিবেশে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর।