কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক
কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদে ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল) পানি ধারণ করার সক্ষমতা রয়েছে; আপাতত হ্রদে পানি আছে ১০৪ এমএসএল। পানি ছাড়তে হলে অন্তত আরও ৫ এমএসএল পানি প্রয়োজন।
আগামী দুই দিনের বৃষ্টিতেও এত পানি হওয়ার সম্ভাবনা কম। সুতরাং এখনই পানি ছাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর যদি পানি ছাড়া হয়, তাহলে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনসাধারণকে জানানো হবে।
বিকেল ৩টায় কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে তাতে কান না দিতেও অনুরোধ করেন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ কর্মকর্তা।
কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দেওয়া অংশে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি জলকপাট বা স্লুইসগেট রয়েছে। এগুলো দিয়ে একসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন করতে পারে। হ্রদে ১০৯ এমএসএলের অধিক পানি পূর্ণ হলে জলকপাট দিয়ে পানি নির্গমন করা হয়। ১৯৬২ সালে কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বাঁধের সঞ্চিত পানি ব্যবহার করে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ১৯৬২ ও ১৯৮৮ সালের মধ্যে এখানে সর্বমোট ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর বসানো হয়। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বাঁধ ও একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।