কারাগারে বসেই নির্বাচন করবেন ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে থাকা কারাবন্দি রাজনৈতিক নেতা ইমরান খান আসন্ন নির্বাচনে ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইমরানের আইনজীবী ব্যারিস্টার আল জাফর।
আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় গত ৫ আগস্ট এক রায়ে ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার রাজনীতির ওপর ৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ইসলামাবাদের সেশন জজ আদালত। আদালত রায় ঘোষণার পর লাহোরের ব্যক্তিগত বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে অ্যাটক এবং পরে আদিয়ালা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ইমরান খানকে।
সেই আগস্ট মাসেই অবশ্য সেশন জজ আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাই কোর্ট (আইএইচসি)। তবে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসসহ বেশ কয়েকটি মামলার কার্যক্রম সচল থাকায় এখনও কারাগারেই আছেন তিনি। তবে আইএইচসি তোশাখানা মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে আর বাধা নেই ইমরানের। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে পাকিস্তানে।
বুধবার আদিয়ালায় ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী জাফর। সাক্ষাৎ শেষে কারাগারের বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘(নির্বাচনে) ইমরান খান সাহেব দেশবাসীকে জানাতে চান যে আগামী নির্বাচনে তিনি ৩টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তোশাখানা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন ইমরান খান, শিগগিরই তার রায় হাইকোর্ট ঘোষণা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আলী জাফর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি আদালত শিগগিরই রায় জানাবেন।’
পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান গহর খান ইমরান খানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বুধবার দলের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ইমরান খান সাহেব ৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। তিনি দলের সব প্রার্থীদের মনোয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার কাজ শুরু করারও নির্দেশ দিয়েছেন।