আন্তর্জাতিক

কারাগার থেকে গৃহবন্দী সুচি

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কারাবন্দী থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতা ও নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষায় বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকার।

সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন জানান, যেহেতু আবহাওয়া এখন অত্যন্ত গরম, তাই প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষার জন্য শুধু অং সান সু চি নয়, বিশেষ করে বয়স্ক বন্দীদের জন্যও আমরা কাজ করছি।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে অং সান সুচির ছেলে কিম অ্যারিস কারাগারে তার মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, গুরুতর মাড়ির রোগে ভুগছেন তিনি। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে কয়েক বছর জেলে থাকায় তার খাবার খেতে সমস্যা হতো।

অং সান সুচি প্রায় দুই দশক ধরে কোনো না কোনো কারণে গ্রেপ্তার থেকেছেন। ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো গৃহবন্দী হন সু চি। ১৯৯১ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতেন। ২০১০ সালে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান তিনি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন। সামরিক বাহিনীর আংশিক সংস্কারের পর গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় তিনি ক্ষমতাগ্রহণ করেন। তবে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর এ প্রক্রিয়া আবারো থেমে যায়।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৮ বছর বয়সী সুচির সরকারকে উৎখাত করা হয় এবং এরপর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাকে আটক করে রেখেছে। রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ঘুষ থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগ আইন লঙ্ঘন পর্যন্ত অপরাধের জন্য তিনি ২৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও অভিযোগগুলি তিনি অস্বীকার করেন।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুচিকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তার ছেলে কিম অ্যারিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d