কালুরঘাটে এক ঘণ্টা বন্ধ ফেরি, দুর্ভোগ
কালুরঘাটে কর্ণফুলীতে ফেরির সঙ্গে নৌকার ধাক্কায় নিখোঁজ যাত্রীর সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। অভিযানে যাতে কোনো ধরনের বেগ পেতে না হয় সেজন্য এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল। রবিবার (২৩ জুন) সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মৌখিকভাবে এক ঘণ্টার জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে সময়টা আরও বাড়তে পারে। আবার কমও লাগতে পারে!
বৃষ্টিতে দুর্ভোগে যাত্রীরা
থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আর কালুরঘাটের এপার-ওপার দুদিকে আটকা রয়েছে যানবাহন। যাত্রীরাও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিকে, অনেকে হেঁটে কালুরঘাটে নতুনভাবে তৈরি হওয়া ওয়াকওয়ে দিয়ে নদী পার হচ্ছেন। তবে বৃষ্টি হওয়ায় অনেকে পরিবার নিয়ে হেঁটে পার হতে পারছেন না।
বোয়ালখালী অংশে টুকটুকি (সবুজ টেম্পো) গাড়ির চালক খোরশেদ বলেন, ‘ঘাটে গাড়ি নিয়ে ঢুকতেই জানানো হয়, এক ঘণ্টার জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। অনেক যাত্রী দেরি হওয়ার কারণে নেমে যাচ্ছে। আবার বৃষ্টি পড়ায় অনেক যাত্রী গাড়িতে বসে আছেন।’
নিখোঁজ কাজলের সন্ধানে অভিযান চলছে কর্ণফুলীতে
নিখোঁজ আশরাফ উদ্দিন কাজলের (৪৮) সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ধারণা করা হচ্ছে—ভাটার টানে তার লাশ মোহনার দিকে ভেসে গেছে। রবিবার (২৩ জুন) ভোর ৬টা থেকে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি দল দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
নিখোঁজ আশরাফ উদ্দিন কাজল চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পরিচালক। তাঁর বাড়ি বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদণ্ডী ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই এলাকার মরহুম মেজর হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এদিকে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তিনজন নদীতে পড়ে গিয়ে দুজন নিখোঁজ হওয়ার কথা বললেও ফায়ার সার্ভিস এবং নৌ-পুলিশ নিশ্চিত করেছে নিখোঁজ রয়েছেন একজনই।
কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘বোয়ালখালী থেকে চট্টগ্রাম নগরে আসার সময় ফেরির সঙ্গে একটি নৌকার সংঘর্ষ হয়। এ সময় নৌকার দুই যাত্রী ফেরির নিচে পড়ে নিখোঁজ হন। একজনকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা হলেও অপরজন নিখোঁজ ছিলেন। আমরা ওইদিন রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছিলাম। কিন্তু নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করি। আজ ভোর ৬টা থেকে ডুবুরি দল নিয়ে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনসহ দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদিন উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকবে। আমরা কালুরঘাট ব্রিজ থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত চক্কর দিচ্ছি। তবে এখনো নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাইনি। সাধারণত কেউ পানিতে তলিয়ে গেলে ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর মরদেহ ভেসে উঠতে পারে।’
‘যখন লোকটি ডুবে যায় তখন ভাটা ছিল। ভাটার টানে মোহনায় তার মরদেহ ভেসে এসেছে কিনা সেখানেও আমরা অভিযান চালাচ্ছি’— যোগ করেন তিনি।